"নফস বা আত্মা, তার রূপ এবং নফস বা আত্মার বৈশিষ্ট্য"
[কুরআনুল কারীম থেকে]
নফসের পরিশুদ্ধতা ছাড়া মুমিন হওয়া সম্ভবপর নয় এবং কোন পাপ কাজ থেকে বেচে থাকাও সম্ভব নয়। মহান আল্লাহর অনুগ্রহ ছাড়া নফসকে নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব নয়। তাই নফসকে পরিশুদ্ধ করার জন্য সদা সর্বদা মহান আল্লাহর নিকট পানাহ চাইতে হবে। সব সময় আল্লাহ ও পরকালকে ভয় করতে হবে এবং নফসকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে হবে; তাহলে পাপ কাজ বা খারাপ কাজ থেকে বেচে থাকতে আল্লাহ সাহায্য করবেন।
মহান আল্লাহ বলেছেনঃ
"যে ব্যক্তি নিজেকে পরিশুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয় এবং বিফলকাম বা ব্যর্থ হয় সেই ব্যক্তি, যে নিজেকে পাপাচারে কলুষিত করে"।
(সূরা আশ-শামসঃ আয়াতঃ ৯-১০)
নফসের কার্যক্রম ও বিভিন্ন অবস্থানের কারনে নফসকে তথা মানুষকে বা তার কার্যক্রমকে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হয়ে থাকে।
মহান আল্লাহ বলেছেনঃ
"আল্লাহর নিকট মানুষের মর্যাদা বিভিন্ন স্তরের এবং আল্লাহ দেখেন যা কিছু তারা করে"।
(সূরা আল-ইমরানঃ আয়াত-১৬৩)
★ নফস বা আত্মার বৈশিষ্ট্য:
মানব আত্মা বা নফস মহান আল্লাহর এক বিস্ময়কর ও রহস্যময় সৃষ্টি। এসব বিষয় নিয়ে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা, গবেষণা ও অনুসন্ধান অহরহ চলছে। মানব জন্মের সাথে তার রূহ বা আত্মা কিভাবে দেহে সংযুক্ত হয় বা প্রবেশ করে তা অদ্যাপি অজ্ঞাত। আত্মা দেহকে সঞ্জীবিত করে তোলে এবং দেহে গতি সঞ্চার করে। অন্য দিকে দেহ ছাড়া আত্মার স্বরূপ অনুভূত হয় না বা জানা যায় না। দেহ-মন একীভূত হয়ে থাকলেও এদের মধ্যে কোনো অনিবার্য সম্পর্ক নেই- আত্মা মুক্ত স্বাধীন স্বতন্ত্র এবং স্বীয় বৈশিষ্ট্যে মহীয়ান। দেহ ছাড়াও আত্মা থাকতে পারে- তবে আত্মা ছাড়া দেহ অচল নির্জীব এবং নিরেট জড় পদার্থ মাত্র। মানুষের সব ক্রিয়াকাণ্ডের মূলে রয়েছে মন বা আত্মার সক্রিয় ভূমিকা। শরীর বা দেহ আত্মার নির্দেশ পালনের হাতিয়ার স্বরূপ- আত্মার হুকুম তামিল করার জন্য সে সদা প্রস্তুত। মনে হলো কমলা লেবু খাবো- মনের এই ইচ্ছা প্রতিপালনের জন্য দেহে গতি সঞ্চার হয় এবং ইচ্ছা পরিপূরণের জন্য দেহ সক্রিয় হয়ে ওঠে। যথা:
হস্ত সঞ্চালন করে টেবিল থেকে কমলাটি তুলে নেয়া, এর খোসা মুক্ত করা এবং কোষ মুখ গহবরে পুরে দেয়া ইত্যাদি। দেহে অবস্থিত আত্মাই এসব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে। আত্মার মূলত দু’টি প্রবৃত্তি রয়েছে: সুপ্রবৃত্তি এবং কুপ্রবৃত্তি অথবা বলা চলে বুদ্ধিবৃত্তি ও জীববৃত্তি। সুপ্রবৃত্তি মানুষকে ন্যায়, সৎ ও সঠিক পথ নির্দেশ করে অন্য দিকে কুপ্রবৃত্তি মানুষকে অন্যায়, অসৎ ও বিপথে পরিচালিত করে।
মানব জীবনে চলছে, ‘সু’ ও ‘কু’ এই দুই বৃত্তির অভিনব খেলা। ‘সু’ টানছে সত্যের পথে ‘কু’ প্ররোচিত করছে অসত্য ও মিথ্যার পানে। কখনো ‘সু’ মন বা আত্মার ওপর এর প্রভাব বিস্তার করে আবার কখনো কখনো ‘কু’-এর আধিক্য প্রবল হয়ে ওঠে- এই দোদুল্যমানতার ভেতর দিয়েই চলছে জীবন প্রবাহ। ইসলাম এক পবিত্র ধর্ম এবং এই ধর্মের মহাগ্রন্থ’ হলো আল-কুরআন আল্লাহর বাণী। সৃষ্টি জগতে এমন কোন বিষয় নেই যা পবিত্র কুরআনে পরিব্যক্ত হয়নি। মন-আত্মা, রূহ বা নফস সংক্রান্ত বিষয়েও এখানে আলোচিত হয়েছে। ইসলামের পরিভাষায় ‘নফস’-কে সাধারণত তিন স্তরে বা ত্রিস্তরে বিন্যস্ত করা হয়। নফসের কার্যক্রম ও বিভিন্ন অবস্থানের কারনে কুরআনুল কারীমে মানুষের নফসের তিনটি রূপ উল্লেখ করা হয়েছে। যথাঃ
১) নফসে আম্মারা বা কু-প্রবৃত্তিমূলক আত্মা,
২) নফসে লাউয়ামাহ বা বিবেক তাড়িত বা ধিক্কারজনিত আত্মা এবং
৩) নফসে মুতমাইন্নাহ বা প্রশান্ত আত্মা বা প্রফুল্ল চিত্ত।
নফসের কার্যক্রম ও বিভিন্ন অবস্থানের কারনে কুরআনুল কারীমে মানুষের নফসের তিনটি রূপ উল্লেখ করা হয়েছে।
যথাঃ
১) নফসে আম্মারাঃ
একটি ‘নফস’ মানুষকে মন্দ কাজে প্ররোচিত করে। এটির নাম ‘নফসে আম্মারা’। যেমনঃ
আল্লাহ বলেছেনঃ
"আমি নিজেকে নির্দোষ বলি না। নিশ্চয় মানুষের মন মন্দ কর্মপ্রবণ কিন্তু সে নয়-আমার পালনকর্তা যার প্রতি অনুগ্রহ করেন। নিশ্চয় আমার পালনকর্তা ক্ষমাশীল, দয়ালু"।
(সুরা ইউসুফঃ আয়াত-৫৩)
নফসে আম্মারা'ই মানুষকে খারাপ কাজ করায়। তাই এটা দমন করাই হল মুমিনের প্রথম কাজ। সকল খারাপ কাজ থেকে মুক্ত থাকার জন্য মহান আল্লাহর নিকট পানাহ চাইতে হবে।
মহান আল্লাহ বলেছেনঃ
"হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের অন্তরের আলো বা নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্ব শক্তিমান"।
(সূরা আত্ব-তাহরীমঃ আয়াত-৮)
অনেকে আবার নফসে আম্মারা'কে ষড় রিপু বলেছেন। তারা আরও বলেছেন, ষড় রিপু ছাড়াও আরও ১২টি কু-রিপু আছে বা মানুষের অন্তরে কাজ করে।
২) নফসে লাউয়ামাহঃ
তিরষ্কারকারী আত্মাই হল নফসে লাউয়ামাহ। একটি ‘নফস’ ভুল বা অন্যায় কাজ করলে অথবা ভুল বা অন্যায় বিষয়ে চিন্তা করলে কিংবা খারাপ নিয়ত রাখলে লজ্জিত হয় এবং সেজন্য মানুষকে তিরস্কার ও ভৎর্সনা করে। আধুনিক পরিভাষায় একেই আমরা বিবেক বলে থাকি। যেমনঃ মন
আল্লাহ বলেছেনঃ
"আমি শপথ করি কিয়ামত দিবসের এবং আরও শপথ করি সেই মনের, যে নিজেকে ধিক্কার দেয়"।
(সূরা ক্বিয়ামাহঃ আয়াতঃ ১-২)
৩) নফসে মুতমাইন্নাহঃ
যে নফসটি সঠিক পথে চললে এবং ভুল ও অন্যায়ের পথ পরিত্যাগ করলে তৃপ্তি ও প্রশান্তি অনুভব করে তাকে বলে ‘নফসে মুতমাইন্নাহ’।
আল্লাহ বলেছেনঃ
"হে প্রশান্ত মন, তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে। অতঃপর আমার বিশিষ্ট বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর"।
(সূরা আল ফাজরঃ আয়াতঃ ২৭-৩০)
নবী-রাসুল, অলী-আউলিয়া মুমিন বান্দাদের বেলায়ই নফসে 'লাউয়ামাহ' এবং নফসে 'মুতমাইন্নাহ' কাজ করে। তারা নফসে 'আম্মারা'-এর কলুষ থেকে মুক্ত থাকে।
কিছু আলেম-উলামা নফসকে আরও দুইটি ভাগে বৃদ্ধি করেছেন। যেমনঃ-
১) নফসে মুলহেমাঃ
"কসম বা শপথ মানুষের আত্মার বা প্রাণের এবং যিনি মানুষকে আকৃতিতে সুবিন্যস্ত ও সুঠাম করেছেন, অতঃপর তাকে তার অসৎকর্ম ও সৎকর্মের জ্ঞান বা তাকওয়া দান করেছেন"।
(সূরা আশ-শামসঃ আয়াতঃ ৭-৮)
এই আয়াতদ্বয়ের তাৎপর্য্য হলঃ যেগুলো মন্দ কাজ সেগুলো পরিত্যাগ করতে হবে এবং যেগুলো পূন্যের কাজ সেগুলোকে গ্রহণ করতে হবে। আল্লাহর অনুগ্রহেই এটা হয়ে থাকে। যেমনঃ খিজির(আঃ) নবী মূসা(আঃ)-কে বলেছিলেনঃ "আমি নিজের ইচ্ছায় কিছুই করিনি এবং এই ইচ্ছা যাতে তুমি সবর করতে পারনি- তারতাবীল"।
এখানে বুঝানো হয়েছে যে, আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্তরা এলহাম প্রাপ্ত হয়েই সব কিছু করে থাকেন। যাহা সাধারন মানুষ অনুধাবন করতে পারে না এবং বোধগম্য না হলেও - তা কল্যানময়।
২) নফসে রহমানীঃ
এই শ্রেনীর নফস সম্পৰ্কে কিছু আলেম বলেছেন যে, নফসে মুলহেমা কায়েম-দায়েম হলে এবং রহমানুর রহীম আল্লাহর খাসলত হাসিল হলেই নফসে রহমানী লাভ সম্ভবপর হয়। যেমনঃ
আল্লাহ বলেছেনঃ
"আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করেছি। আল্লাহর রং এর চাইতে উত্তম রং আর কার হতে পারে? আমরা তাঁরই এবাদত করি"।
(সূরা বাকারাহঃ আয়াত-১৩৮)
আলেমরা এই আয়াতের অর্থকে বুঝিয়েছেন, আল্লাহর গুনে গুনান্নিত হও, আল্লাহর শানে শানান্নিত হও। তাই যদি কেউ রহমানুর রহীমের খাসলত ধারন করতে পারে, তবে তারাই হবে পূন্যময় এবং সর্বোত্তম। যেমনঃ
আল্লাহ বলেছেনঃ
"আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সুন্দরতর আকৃতিতে বা অবয়বে"।
(সূরা আত্ব-তীনঃ আয়াত-৪)
আল্লাহু আলেম। আল্লাহু আলেম। আল্লাহু আলেম।
'নফস' সম্পর্কেে আলেম-উলামা ও সুফীদের বানী সমূহঃ
[বানীসমূহ সংগৃহিত]
নফসের লালসা দমনে যে অক্ষম, সে দূবর্লতম মানুষ। আর যে সক্ষম সে সবার্পেক্ষা শক্তিশালী।
***হযরত ইব্রাহিম দাউদ রুকী (রহঃ)।
নফসের কারাগারে যে বন্দী, সে আল্লাহর দরবারে পৌছতে পারে না ।
**হযরত ইবনে আতা (রহঃ)।
নফসের অনুগত হওয়া আর কারাবরনে কোন পাথর্ক্য নাই।
***হযরত আবু উসমান হিরী (রহঃ)।
আল্লাহর কাজে নফসকে বের করে দেয়াই হল বিশুদ্ধতার পরিচয়।
**হযরত জোনায়েদ বাগদাদী (রহঃ)।
শয়তান ও নফসের প্রলোভনের মধ্যে পাথর্ক্য হল লা-হাওলা কালিমা পাঠ করে শয়তানের ছলনা থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায় কিন্তু নফসকে তাড়ানো কঠিন, সে যা চায় তা না পাওয়া পযর্ন্ত পিছু হটে না। কখনো কখনো হয়তোবা উদ্দেশ্য পূরনে বিরত হয়। কিন্তু অচিরেই সুপ্ত আকাংখাকে সে পুনরুজ্জীবিত করে। অতএব নফস শয়তান অপেক্ষা শক্তিশালী। আর এর মোকাবেলা করার জন্য পীরের দীক্ষা নিতে হয়।
***হযরত জোনায়েদ বাগদাদী (রহঃ)।
অন্তরকে পবিত্র রাখার অবলম্বনই হলো নফসকে সংযত রাখা।
***হযরত আহমদ ইবনে আসেম এন্তাকী (রহঃ)।
নফসের অনুসরন মানুষের সবর্নাশ ডেকে আনে। আর বিপদে অধৈয্যর্শীল মানুষ পরলৌকিক বিপদে জড়িয়ে পড়বে।
***হযরত মানসুর আম্মার (রহঃ)।
নফসকে যে প্রিয় মনে করে সে নফসের দ্বারা ফেরাউনী কাজ করে অর্থ্যাৎ অন্যায় অপকর্ম করে তার অশুভ পরিনাম ভোগ করে।
***হযরত হামদন কাচ্ছার (রহঃ)।
যিনি নফসের পবিত্রতা ও সরলতার প্রত্যাশী তিনিই আল্লাহর ওলী।
***হযরত আবু হাফস হাদ্দাদ খোরাসানী (রহঃ)।
নফসকে চিনতে না পারলে আল্লাহর দিকে অগ্রসর হওয়া কঠিন। অর্থ্যাৎ মন্দ প্রবৃত্তির তাড়নার প্রতি সজাগ না থাকলে আল্লাহর পথে চলা একেবারেই অসম্ভব।
***হযরত সহল ইবনে আব্দুল্লাহ তসতরী (রহঃ)।
নফসকে শাসনে রাখাই হলো দুনিয়া ত্যাগের প্রথম সোপান, দুনিয়া ত্যাগ হল তাওয়াক্কুলের প্রথম, আল্লাহর তুষ্টি লাভের প্রথম সোপান।
***হযরত সহল ইবনে আব্দুল্লাহ তসতরী (রহঃ)।
উদরপূর্ণ করে পানাহার করলে তা নফসের লালসার চরম মাত্রায় পৌছে দেয়। আর তখন মন্দ চাহিদাগুলো তাদের ইচ্ছা পূরনে উঠে পড়ে লেগে যায়।
***হযরত সহল ইবনে আব্দুল্লাহ তসতরী (রহঃ)।
দুনিয়াতে নফস ব্যতীত কোন কিছুকেই আমি ভয় করি না।
***হযরত হাজী এমদাদুল্লাহ মোহাজিরে মক্কী।গোপনে বা প্রকাশ্যে পাপ চিন্তা করো না। নিজের নফসকে যেকোন পাপ কাজ থেকে বিরত রাখ।
***হযরত হারেস মোহাসেবী (রহঃ)।
আমি যখন আমার নফসকে আল্লাহর দরবারে নিতে চাইলাম আর সে প্রত্যাখ্যান করলো তখন আমি একাই আল্লাহর দরবারে....
হাজির হলাম।
***হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ)।
[মন্তব্যঃ বায়েজীদ বোস্তামীর সুফীবাদী কথা- নাউজুবিল্লাহ]
মানুষের কু-প্রবৃত্তি প্রবল হলে অন্তর দুর্বল হয়, আর অন্তর সবল হলে কু-প্রবৃত্তি দুর্বল হয়]
***হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ)।
নফসের বাসনা যে ত্যাগ করেছে সে অাল্লাহকে পেয়েছে। আর যে আল্লাহর নৈকট্য অজর্ন করেছে সবকিছুই তার নাগালে এসে গেছে।
***হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ)।
যে ব্যক্তি কু-প্রবৃত্তি দমন করে আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন হয়, আল্লাহ প্রকাশ্যে তার মযার্দা বৃদ্ধি করেন।
***হযরত যুন্নুন মিশরী (রহঃ)।
যে সবসময় নফসের অনুগত শয়তান তার কাছে বেশি যাতায়াত করে না, কেননা সে মনে করে নফসের মাধ্যমেই শয়তানের কর্ম সম্পাদিত হয়ে থাকে।
***হযরত মালেক বিন দিনার (রহঃ)।
মানুষের নফসকে খুব শক্ত শিকলে বেধে রাখতে হয়। পশুদের ক্ষেত্রে তেমন দরকার হয় না।
***হযরত হাসান বসরী (রহঃ)।
নফসকে সংযত রাখা ধৈর্য্যের লক্ষণ।
***হযরত ইউসুফ আসবাত (রহঃ)।
নফসের বিরোধীতা করা সত্য ও সততার লক্ষন।
***হযরত ইউসুফ আসবাত (রহঃ)।
প্রকৃত সংযম ৪ টি। যথাঃ
১) অল্প আহার করা
২) অল্প কথা বলা
৩) অল্প শয়ন করা এবং
৪) নফসের কামনা ত্যাগ করা।
***হযরত আবু ইয়াকুব ইবনে ইসহাক নহর জওয়ান (রহঃ)।
দুনিয়া ও নফস থেকে দূরে সরে যাওয়া হলো আল্লাহর সঙ্গে বন্ধত্বের কারন।
***আবু মোঃ মোমতীয়েশ (রহঃ)।
নফসের তাড়না থেকে মুক্ত হওয়ার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত শান্তি।
***হযরত আবু আব্দুল্লাহ ইবনে ফজল (রহঃ)।
মন্তব্যঃ
ভাল এবং মন্দ এক সাথে বাস করে না এবং দুনিয়া ও আখেরাত একত্রে বাস করে না। আর তাইতো মহান আল্লাহ জান্নাত ও জাহান্নাম পৃথকভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং যার যার কর্মফলের পুরস্কার হিসাবে সাজিয়ে রেখেছেন।
মহান আল্লাহ বলেছেনঃ
"আর যদি শয়তানের প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে আল্লাহর শরণাপন্ন হও তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।"
(সূরা আল-আরাফঃ আয়াত-২০০)
অতএব, আমার প্রার্থনা এই যেঃ-
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ
"হে অন্তর সমূহের পরিবর্তনকারী! তোমার দ্বীনের উপর আমার অন্তরকে অবিচল রাখ।"
বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৮
নফস
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন